Description
সরিষা ফুলের মধুর শক্তিশালী ঔষধি গুণাবলীর জন্য বেশ জনপ্রিয়। এটি ভারী মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণগুলি ধারণ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ও রক্তে থাকা ফ্রী রেডিক্যাল রিমুভ করে এবং রক্ত কে পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।
এই মধু আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এছাড়াও, সরিষা ফুলের মধু স্বাদ ও পুষ্টিকর এর জন্য বেশ পরিচিত। এটি তে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন, এবং আরোগ্যকর তেল, যা শরীরের প্রতি দিনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে । এছাড়াও আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে রেখে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নিরাময় করে।
সরিষা ফুলের মধু কখন এবং কিভাবে সংগ্রহ করবেন?
বাংলাদেশে সরিষা ফুলের মধু সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হয়। মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে সরিষা ফুল ফুটতে শুরু করে তখন মৌ চাষিরা তাদের মৌ বাক্স গুলো সরিষার ক্ষেতের পাশে রাখে। তারপর ফুল বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওই এলাকা বা সরিষা খেত থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের মৌ বাক্সে জমা রাখে এছাড়াও অন্যান্য ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ করে। আর এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সরিষা ফুলের খাঁটি মধু (জমা মধু)। ইয়াম্মী নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে ও সুষ্ঠু পরিবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন খামার থেকে থেকে সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন মধু সংগ্রহ করে থাকে। উত্তম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ডেলিভারি করে থাকে।
সরিষা ফুলের মধুর আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহার
সরিষা ফুলের মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, বিশেষভাবে তার বিশিষ্ট গুণগুলির জন্য। সরিষা ফুলের মধু, হৃদরোগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।
রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার
লাবণ্যময় চেহারার জন্য মধু বেশ উপকারি। প্রতিদিন এক চামচ মধু মুখে মেখে ১০ মিনিট রাখলে ত্বক আর্দ্র হওয়া থেকে রক্ষা করে, এবং চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আর এই কাজটি নিয়মিত করলে দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বা জীবাণুনাশক উপাদান মুখের ব্রণ এবং কালচে ভাব দূর করে। আর এই সুফল পাওয়ার জন্য এক চামচ মধু সাথে পরিমাণ মত নারিকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে মধুর ব্যবহার
মধু একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চায়ের সাথে মধুর উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি চা পান করার সাথে অভ্যস্ত। আর এই চা যেমনই হোক না কেন তাতে মিষ্টি স্বাদ না হলে যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। চায়ে মিষ্টতা আনতে আমরা সব চেয়ে বেশি চিনি ব্যবহার করি। আর এতেই বিপত্তি ঘটে! কারণ নিয়মিত চিনি গ্রহণ করায় দিন দিন ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে বিশেষজ্ঞরা বরাবরই চায়ে চিনি পরিহার করার পরামর্শ দেন। তবে একাধিক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, চায়ে মিষ্টি স্বাদ পেতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার উত্তম একটা উপকরণ।
এক কাপ গরম চায়ে পরিমাণমত মধু মিশ্রিত করে পান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি ঘটে। এছাড়াও পুরাতন কাশি থাকলে তা সেরে যায়। বিশেষ করে গ্রিন টি বা হার্বাল টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মানবদেহের ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রী অনেক উপকার হয়।
Reviews
There are no reviews yet.